সে যে আগুন জ্বালাইয়া গেল মনে

 

সে যে আগুন জ্বালাইয়া গেল মনে নিভাইল নারে হায়

আমার প্রান ও যায়

সেযে অকুলে ভাসাইয়া গেল  মোরে তুইলা নিলো নারে হায়

আমার প্রান ও যায়।।

 

ঘরে যে আর রইতে নারি

দুঃখ যে আর সইতে নারি

সে যে প্রেম কাঁটা বিধাইয়া গেল হায়রে তুইলা গেল নারে হায়

আমার প্রান ও যায়।।

 

সখিরে তোর পায়ে ধরি

আইনা দেনা বিষের বড়ি লো

সেযে জ্যান্তে করা কইরা গেল আমায় মরতে দিলো নারে হায়

আমার প্রান ও যায়।।

 

কথা: আঃ লতিফ

সুর ও সংগীত: আলতাফ মাহমুদ.

শিল্পী: নীনা হামিদ

x

ও যার আপন খবর আপনার হয় না

ও যার আপন খবর আপনার হয় না
একবার আপনারে চিনতে পারলে রে।
যাবে অচেনারে চেনা, যাবে অচেনারে চেনা।।

ও সাঁই নিকট থেকে দূরে দেখায়
যেমন কেঁশের আড়ে পাহাড় লুকায় দেখ না।
আমি ঘুরে এলাম সারা জগৎরে।
তবু মনের গোল তো যায় না।।

ও সে অমৃত সাগরের সূধা।
সূধা খাইলে জিবের (জিহ্বা) ক্ষুধা তৃষ্ণা রয় না।
ফকির লালন মরল জল পিপাষায়রে।
আছে থাকতে নদী মেঘনা।।

স্বরুপ তু্ই বীনে দুঃখ বলব কারো কাছে রে

স্বরুপ তু্ই বীনে দুঃখ বলব কারো কাছে রে
তুই বীনে আর বান্ধব কেহ আছে রে প্রানের স্বরুপ।।

ও স্বরুপরে ..
তুই যে আমার বান্ধব ছিলি, ঘুমের ঘোরে পালাইলি
আমি জাগিয়া না দেখলাম চন্দ্র মুখরে প্রানের স্বরুপ।।

ও স্বরুপরে ..
আশা করে বাধলাম বাসা, না পুরিল মনে আশা
আমার আশা বৃক্ষের ডাল ভাঙ্গিয়া গেলরে প্রানের স্বরুপ।।

ও স্বরুপরে ..
চাতক রইলো মেঘের আশে, মেঘ ভাইসা যায় অন্য দেশে
বুঝি জল বীনে চাতোকের প্রান গেলোরে প্রানের স্বরুপ।।

কি বাশী বাজাইয়া গেলিরে

কি বাশী বাজাইয়া গেলিরে বন্ধু পরান নিলি হরে
পাগল করিলো মোরে ওই না বাশীর সুরে রে।।

রেখাবে ধৈবতে দিয়া তান শুনাইলি তুই আমার নামের গান
ত্রিভুবন তুই মাতাইলি কেমনে রই ঘরে।।

কি মায়া জাগাইলি বন্ধু আমারই অন্তরে
দিবানিশি তোর লাগিয়া দুটি (দুইটি) নয়ন ঝরে রে।

আগে যদি জানতাম কালা তোর বাশির সুরে এতই জ্বালা
আমি আসতামনা আর কদম তলায়
কোন দিনের তরে।।

পিঞ্জিরার পাখির মত আমি তারে উইরা যাইয়া দেখি

পিঞ্জিরার পাখির মত আমি তারে উইরা যাইয়া দেখি
কোথায় গো আমার কালো পাখি।।

শিকল কাটিয়া গিয়াছে উড়িয়া গিয়াছে কোন অজানা দেশে
আমারে ভুলিয়া কার প্রেমে মজিয়া
কেবল আমারে বানাইলো চির দুখী।।

ছিল আমার প্রেমে পোষা কত ছিল ভালবাসা 
ছিল আমার অন্তর বাহিরে
সর্ব সাধন হরে নিয়া কোথায় গেল লুকাইয়া
আমি সয়নে স্বপনে তারে দেখি।।

যদিগো পাইতাম হৃদয়ে বসাইতাম শুনিতাম মধুর ও বুলি
জীবন থাকিতে না পাইলাম দেখিতে
আমার মরনের আর কয়দিন আছে বাকী।।

ও পদ্মার ঢেউ রে

ও পদ্মার ঢেউ রে
তুমি আমার কথা কইয়ো ওরে ঢেউ প্রান বন্ধুর কাছে।

যার সাথে প্রেম করলাম সেতো দিলো না ঠিকানা
গোপনের প্রেম লোকের কাছে বলতে কইরা গেলো মানা
আমি কইতে নারি সইতে নারি
কেমনে আমার এ প্রান বাঁচে।।

তুমি আমার মনের মিতা ওগো পদ্মার ঢেউ
তোমার সাথে কইলম কথা যানে না যেন কেউ রে
কথা শোনে না যেন কেউ।

কোথা হইতে আইছে রে ঢেউ কোথায় তুমি যাবে
সেথায় যাইয়া হয়তো আমার বন্ধুর দেখা পাবে
তারে কইয়ো তোমার প্রান সজনী
বেচে আছে কিনা আাছে।।

আমার হাড় কালা করলাম রে

আমার হাড় কালা করলাম রে
হায়রে আমারদেহ কালার লাইগারে
অন্তর কালা করলাম রে দুরন্ত পরবাসে।।

মনরে----
ওরে হাইলা লোকের লাঙল বাকা জনম বাকা চাঁদরে (২)
তাহার চাইতে অধিক বাঁকা যারে দিছি প্রান রে।।

মনরে----
ওরে কুল বাকা গাঙ বাকা বাকা গাঙের পানি রে (২)
সকল বাঁকায় বাইলাম নৌকা (হায়রে)
তবু বাকারে না জানি রে।।

মনরে----
ওরে হাড় হইল জড় জড়
অন্তর হইল পুরারে আমার অন্তর হইলো পুরা
পিরিতি ভাঙ্গিয়া গেলে (হায় হায় ২)
নাহি লাগে জোড়া রে।।

আব্বাসউদ্দিন